প্রেস বিজ্ঞপ্তি
বঙ্গমাতা প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে ইইই ডে-২০২৩ উদযাপন
বশেফুমবিপ্রবি, ২২ মে ২০২৩ খ্রি., সোমবার।।
আনন্দ শোভাযাত্রা, আলোচনা সভা, প্রজেক্ট প্রদশর্নসহ নানা আয়োজনে বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বশেফমুবিপ্রবি) ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং (ইইই) ডে উদযাপন করা হয়েছে।
২০১৯ সালের ৫ জানুয়ারি প্রথম ব্যাচের শিক্ষার্থীদের ক্লাস শুরুর মাধ্যমে এ বিশ্ববিদ্যালয়ে ইইই বিভাগের যাত্রা শুরু হয়। তাই এ দিনকে ‘ইইই ডে’ হিসেবে উদযাপনের সিদ্ধান্ত নিয়েছে বিভাগ কর্তৃপক্ষ।
দিনটি উদযাপন উপলক্ষ্যে সোমবার (২২ মে) সকাল ১০টার দিকে একডেমিক ভবনের সামনে থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের করা হয়। এতে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামরুল আলম খান।
এ সময় খুলনা প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের (কুয়েট) ইইই বিভাগের শিক্ষক ও বায়োমেডিকেল ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের চেয়ারম্যান প্রফেসর ড. মোস্তফা জামান চৌধুরী, বিশ্ববিদ্যালয়ের রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফারুক হোসেন, সিন্ডিকেট সদস্য ও সিএসই বিভাগের ড. মাহমুদুল আলম, প্রক্টর (ভারপ্রাপ্ত) এস.এম ইউসুফ আলী, এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট বিভাগের প্রধান সাফায়েতুল ওয়াহাব চৌধুরীসহ বিভাগের শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
শোভাযাত্রা শেষে ‘রিচার্স অ্যান্ড ক্যারিয়ার ডেভেলপমেন্ট অব ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ফিল্ড’ শীর্ষক এক সেমিনার অনুষ্ঠিত হয়। এতে ‘ইমপ্যাক্ট অব দ্য রিনিঅ্যাবল এনার্জি ইন বাংলাদেশ’ বিষয়ে আলোচনায় অংশ নেন অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি মাননীয় উপাচার্য প্রফেসর ড. মো. কামরুল আলম খান। তিনি নবায়নযোগ্য শক্তির নানা উৎস ও এর ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করেন।
মাননীয় উপাচার্য বলেন, প্রাকৃতিক উপাদান বিভিন্ন উপায়ে আমাদের দেশে বিদ্যুৎ উৎপন্ন হয়। যা হয়তো এক সময় শেষ হয়ে যেতে পারে। এজন্য টারবাইনের মাধ্যমে উইন্ড এনার্জির উৎপাদন করা যেতে পারে। পাশাপাশি বায়োগ্যাস প্লান্টও আছে। তবে তা আরো উন্নত করতে হবে। সর্বোপরি নবায়নযোগ্য ও টেকসই শক্তি উৎপাদনে আমাদের গুরুত্ব দিতে হবে। তাহলে আমরা বিদ্যুৎ খাতে স্বয়ংসম্পূর্ণ হতে পারবো।
বিদ্যুতের ক্ষেত্রে ইনোভেশনের আহ্বান জানিয়ে দেশসেরা এ গবেষক বলেন, শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের গবেষণা করতে হবে। ইনোভেশনে মনোযোগী হতে হবে। আমরা নতুন বিশ্ববিদ্যালয় হওয়া স্বত্ব্বেও নানা ধরনের উদ্যোগ নিচ্ছি, সমপোযোগী ল্যাব স্থাপন করা হয়েছে। আশা করি চতুর্থ শিল্প বিপ্লব মোকাবিলায় এ বিভাগ থেকে দক্ষ জনশক্তি তৈরি হবে।
বিভাগের চেয়ারম্যান সহকারী অধ্যাপক মো. রাশিদুল ইসলামের সভাপতিত্বে সেমিনারে বিশ্ববিদ্যালয়ের ট্রেজারার মোহাম্মদ আবদুল মাননান, রেজিস্ট্রার সৈয়দ ফারুক হোসেন বিশেষ অতিথির বক্তৃতা প্রদান করেন। আর কুয়েটের ইইই বিভাগের প্রফেসর ড. মোস্তফা জামান চৌধুরী ‘ইন্ট্রুডাকশন টু সায়েন্টিফিক রিসার্চ অ্যান্ড অ্যা গুড প্রেজেন্টেশন টেকনিক’ শীর্ষক কি-নোট উপস্থাপন করেন।
এছাড়া কর্মক্ষেত্রে ইইই গ্র্যাজুয়েটদের বিচরণ নিয়ে কি-নোট উত্থাপন করেন এনার্জিপ্যাক ইঞ্জিনিয়ারিং লিমিটেডের রিসার্চ অ্যান্ড ডেভেলপমেন্ট ডিভিশনের প্রধান সাফায়েতুল ওয়াহাব চৌধুরী। তার কি-নোটের শিরোনাম ছিলো ‘অ্যা ক্যারিয়ার বিল্ডিং ইন ইলেক্ট্রিক্যাল অ্যান্ড ইলেক্ট্রনিক ইঞ্জিনিয়ারিং ফিল্ড’।
অনুষ্ঠানে মাননীয় উপাচার্যসহ অতিথিদের ক্রেস্ট প্রদান করা হয়। বিভাগের শিক্ষার্থী রাবেয়া ও তানভীরের সঞ্চালনায় সেমিনারে বিভিন্ন বিভাগের চেয়ারম্যান ও শিক্ষকবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। দিনব্যাপী অনুষ্ঠানমালায় আরও রয়েছে প্রজেক্ট প্রদর্শনী ও আইডিয়া কনটেস্ট এবং সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক পরিবেশনা।
কর্তৃপক্ষের নির্দেশক্রমে
জনসয়োগ কর্মকর্তা
বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব
বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
মেলান্দহ, জামালপুর-২০১২